বাংলা দিয়ে শুরু বিশৃঙ্খলা দিয়ে শেষ ঠাকুরনগড়ে মোদীর জনসভা
Bangla Hunt: কাল সিপিএমের ব্রিগেড। এমন পরিস্থিতিতে লাল পতাকা মোড়া রাজ্যে আজ গেরুয়া মিশন চালালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দূর্গাপুরের ঠাকুর নগড়ে সারাভারত মতুয়া মহাসংঘের আমন্ত্রণে এদিন জনসভায় যোগ দিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। তিনিই ছিলেন প্রধান অতিথি। নাটকীয়তার সাথে এই সভা শুরু হয় এবং শেষও হয়।
উঠেই প্রতিবারের মতনই এবারেও বাংলায় ভাষণ দেওয়া শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাচাপাকা বাংলায় তিনি বলেন, ”এই ঠাকুরনগরের মাটি পবিত্র মাটি। এই মাটি ঠাকুর গুরুচাঁদের মাটি। এই মাটিকে আমার প্রণাম।” পাশাপাশি বড়মার সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি যে গর্বিত, সেকথাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া তিনি ঠাকুরনগরকে হরিচাঁদ ঠাকুরের সামাজিক আন্দোলনের ভূমি বলে জানান।
বাংলা ভাষা সংস্কৃতির উপর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে স্বামী বিবেকানন্দ, অরবিন্দ, বিভূতিভূষণের মত মনীষিদের নামও।
নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে এদিন সভা প্রাঙ্গন গিজগিজ করছিলো প্রায়। কানায় কানায় ভর্তি ছিলো লোক। যা সামালাতে কার্যত হিমসিম খেতে হয় প্রশাসনকে। সভার মঞ্চ থেকেই মোদীজি বারবার শান্ত হতে বলেন জনতাকে। বলেন, এখানে এই জনসমাগম দেখে বুঝতে পারছি, দিদি কেন হিংসাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন? যাঁরা গণতান্ত্রিক হওয়ার ধ্বজা ওড়ান, তাঁরা আসলে নিরীহ মানুষকে খুন করছেন।”
সভায় ভিড় বাড়ার সাথে সাথে দেখা যায় অন্যরকম চিত্র। পিছনের ভিড় সামনের দিকে ঠেলা দিতে আহত হন বেশ কিছুজন। হাই সিকিউরিটি জোনেপ মধ্যেও ঢুকে পরেন কিছুজন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে চেয়ার ছোঁড়ার অভিযোগও আসে। পরিস্থিতি অনুকূল নয় দেখে ১৪ মিনিটের মাথাতেই মঞ্চ ছাড়তে হয় প্রধানমন্ত্রীকে।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি রাজ্য পুলিশ উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না দেওয়ার জন্যই এরকম অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে সভা শেষে আবার বঙ্গ বিজেপি নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখে, “প্রধানমন্ত্রী মোদীকে একঝলক দেখার জন্য কয়েক হাজার মানুষ ঠাকুরবাড়ির মাঠে ভিড় জমিয়েছেন। এই ভিড়-ই প্রমাণ যে মমতা ব্যানার্জি ভয় পেয়েছেন।”
from BanglaHunt http://bit.ly/2UyHeAr
Comments
Post a Comment