মমতাকে গদিচ্যুত করতে সময় লাগবে আজকের জনসভায় স্বীকার করলেন মোদী
লোকসভায় নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে যে মতুয়াদের ভোট অনেকটা কার্যকরী তা হারে হারে বোঝে গেরুয়া শিবির। তাই মতুয়াদের ডাকেই এদিন ঠাকুরনগড়ে এদিন তাদের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অত্যাধিক লোক সমাগমের জন্য সভায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়াতে বেশিক্ষণ মঞ্চে থাকতে পারেননি মোদী।অবস্থা বেগতিক দেখে বাধ্য হয়েই তাকে ১৪ মিনিটের মাথায় মঞ্চ ছাড়তে হয়।
তবে যতক্ষণ ভাষণ দিয়েছেন তারমধ্যে স্পষ্ট ছিল তৃণমূল বিরোধী মন্তব্য। প্রথমে বাংলা সংস্কৃতির প্রতী শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বাংলা ভাষায় শুরু ভাষণ দেওয়া শুরু করেন। স্বামী বিবেকানন্দ, অরবিন্দ, রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতি মনীষির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘ পবিত্র বাংলার বুকে নোংরা রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।
পাশাপাশি তৃণমূলের তোলাবাজিকে সামনে রেখে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন ” এরাজ্যে শিশুরাও জানে ‘ট্রিপল টি ট্যাক্স’ মানে তৃণমূল তোলাবাজি ট্যাক্স। কলেজে ভর্তি, শিক্ষকদের বদলির জন্য এখানে টাকা লাগে। পশ্চিমবঙ্গের অনেক স্কুলে শিক্ষক নেই। কারণ, তাঁরা আদালতে চক্কর কাটছেন”। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ”এতদিন জগাই-মাধাই-সিন্ডিকেট সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করার কেউ ছিল না। এবার বিজেপি এসে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মহান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি”।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পোড় খাওয়া রাজনৈতীক ব্যক্তিত্ব তা স্বীকার করলেও মোদী ভাষণে বুঝিয়ে দেন তিনি ভয় পাননা মুখ্যমন্ত্রীকে। বলেন যে, দিদিকে সরাতে সময় লাগবে। প্রদীপ নেভার আগে একটু বেশি জ্বলে ওঠে। দিল্লিতে বসে ভাবছিলাম, দিদি নিজেই সিপিএমের নির্যাতন সহ্য করেছেন। উনি সেই রাস্তায় যাবেন না। কিন্তু, উনিও একই রাস্তায় হাঁটলেন। এমনটা কেন হচ্ছে! ”
পাশাপাশি আক্রমণ শানান প্রশাসনের দূর্নীতির ব্যপারেও। আরও কিছুক্ষণ বক্তৃতা হয়তো রাখতেন, কিন্তু সভায় অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার দরুণ বাধ্য হয়েই সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিয়ে নেমে যেতে হয় তাঁকে। সভায় এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য পরে অবশ্য মোদী আঙুল তোলেন রাজ্য প্রশাসনের উপরেই।
from BanglaHunt http://bit.ly/2S2D0Eu
Comments
Post a Comment