বৈজ্ঞানিকদের এমন কিছু সর্বনাশ আবিষ্কার যার মাশুল দিতে হয় তাদের নিজেদের প্রাণ দিয়ে ।

আজ আমরা আমাদের আশেপাশের পৃথিবীটাকে খুব সুন্দর দেখছি। খুব সুন্দর সাজানো গোছানো একটা পৃথিবী, কিন্তু আপনারা জেনে রাখুন এই সাজানো-গোছানো পৃথিবীটি খুব সহজে আসেনি।সাজানো-গোছানো পৃথিবীটি কে তৈরি করার জন্য বিজ্ঞানীদের দিতে হয়েছে অনেক আত্মবলিদান।আবিষ্কার করতে গিয়ে নিজের জীবন পর্যন্ত চলে গিয়েছে।বিজ্ঞানীরা এতকিছু আত্মবলিদান দেওয়ার পরে এসেছে সুন্দর সাজানো-গোছানো পৃথিবীটি তারপরে আমরা এত সুযোগ-সুবিধা লাভ করতে পারছি।আজ সে রকমই কতগুলি সুন্দর আবিষ্কারের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। যেগুলি আবিষ্কার করতে গিয়ে বিজ্ঞানীদের নিজেদের জীবন পর্যন্ত চলে গিয়েছে। শুধুমাত্র পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবে তারা নুতন কিছু আবিষ্কারের জন্য নেশাগ্রস্ত হয়ে পারেছিলেন।

প্রথমেই যার কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো তিনি হলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী এবং পাইলট মাইকেল হেডার। উনি যাত্রীদের খুবই দ্রুত এবং কম খরচে যাতায়াতের জন্য আবিষ্কার করেছিলেন উড়ন্ত ট্যাক্সি এর ফলে যাত্রীদের খুবই সুবিধা হতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল একদিন হঠাৎ যাত্রা পথে মালয়েশিয়া রাজধানীতে এই বিমানটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে গতিবেগ হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান। এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের ফলে বিমানটি ক্রাশ করে যায়। এর ফল বিমানে থাকা বিজ্ঞানী মাইকেল হেডারের মৃত্যু ঘটে।

এরপর আমরা যে বিজ্ঞানী কথা বলতে যাচ্ছি তিনি হচ্ছেন সাহসী বিজ্ঞানী টমাস এন্ডরুজ। তিনি করেছিলেন টাইটনিক জাহাজের নকশা। তিনি জাহাজ পর্যবেক্ষক কমিটি কে বারবার করে বলে দিয়েছিলেন যখনই জাহাজটি চলো পথে নামানো হবে তখন যাতে সেই জাহাজে কম করে ৪৫ টি লাইফ বোর্ড রাখা হয়। কিন্তু জাহাজের পর্যবেক্ষক কমিটি তার কথা না শুনে মাত্র কুড়ি টি লাইফ বোর্ড রেখে জলপথে নামিয়ে দিয়েছিলেন। এর ফলে ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা এবং সে দুর্ঘটনার সময় সেই জাহাজে ছিলেন টমাস অ্যান্ড্রুজ এবং তার মৃত্যু ঘটে।

এরপর চলে আসি একজন স্ট্যান্ড মানের কথায়। উনি হচ্ছেন কানাডিয়ান স্ট্যান্টম্যান। উনি একটি সুন্দর ক্যাপসুল আবিষ্কার করেছিলেন এর মাধ্যমে তিনি এর ভেতরে প্রবেশ করে বড় বড় পাহাড় থেকে লাফ দিতেন। তিনি বহুবার বহু পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে সফল হয়েছেন। তিনি অনেকবার এই কাজে সফল হয়েছেন এবং অনেক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। কিন্তু একদিন তিনি ১৮০ ফুট লম্বা একটা উঁচু থেকে লাফ দিতে গিয়েছিলেন। এবং ক্যাপসুলটি ভুলবশত অন্য জায়গায় পড়ে যায় এবং সেটি ফেটে গিয়ে তার মৃত্যু ঘটে।

এরপর চলে আসি হার্লির কোথায়। ইনি পেশায় ছিলেন একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। তিনি জাহাজের চালক ছিলেন না, কিন্তু একদিন জাহাজের অবস্থা শোচনীয় দেখে তিনি চালকের ভূমিকা গ্রহণ করেন। এবং কিছু যাওয়ার পরে প্রবল দুর্যোগে জাহাজটি নিজের রাস্তা সঠিক রাখতে না পেরে জলে ডুবে যায় এবং তার মৃত্যু ঘটে।

এরপর চলে আসে আরেক বিজ্ঞানী যার নাম টমাস তিনি নিজের নামে একটি রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন সেটি হলো সবচেয়ে দ্রুত গাড়ি চালানোর রেকর্ড। এবং তিনি রেকর্ডটি করে ফেলেছিলেন। কিন্তু ঠিক তার পরের বছর অন্য আরেক জন তার রেকর্ডটি ভেঙে দেয়। এর ফলে তিনি অনেকটাই উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন। এবং সেই রেকর্ড আবার তৈরী করার নেশায় নেশাগ্রস্ত হয়ে উঠেন। ফলে নিজের গাড়ীটিকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আরোও দ্রুত করার চেষ্টা করেন। সেই সময় এক বিস্ফোরনে তার মৃত্যু ঘটে।
#অগ্নিপুত্র



from The India News https://ift.tt/2E7VfBd

Comments

Popular posts from this blog

news links 18

new link 7

new links 3