সংখ্যালঘুদের জন্য হাসপাতাল করে দিচ্ছেন, সংখ্যাগুরুদের কি অসুখ হয় না?: দিলীপ ঘোষ

বিভাজনের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের দুই দিনের মধ্যেই পুরুলিয়ায় এসে তাঁর এবং তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হলেন দিলীপবাবু।

শুক্রবার, পাড়া ব্লকের মহুলা গ্রামে দলীয় ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ শীর্ষক সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ওই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে বিভিন্ন ইস্যু ধরে কটাক্ষ করে অভিযোগ করেন তিনি। ধর্মের নামে বিভাজনের অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তির ছুঁড়ে বলেন, ‘আপনি মুসলমানদের জন্য আলাদা করে সংখ্যা লঘু বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক, আইটিআই, হাসপাতাল দিচ্ছেন কেন? সংখ্যাগুরুদের অসুখ করে না? তাঁদের কষ্ট নেই?’

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই করতে গিয়ে এতদিন মুসলমানদের তেল দিয়েছেন। মাথায় হিজাব পড়ে নমাজ পরেছেন। নমাজ পড়তে, আজান দিতে গিয়ে আপনি দুর্গাপূজার মন্ত্র ভুলে গিয়েছেন। তাই, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাঝে মধ্যে ভুলভাল মন্ত্র পড়েন। এখন বুঝেছেন হিন্দুরা ক্ষেপেছে, তাই ভুল হয়ে গিয়েছে বলছেন। আর বলছেন চল আমরাও রামনবমী করি।’

ঝাড়গ্রামে শবর মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, ‘লালগড়ের জঙ্গলখাস গ্রামে মোট ৮ জন শবর না খেতে পেয়ে মারা গেলেন তখন আপনি সল্টলেকে স্বাস্থ্য মেলা করছেন। আপনারা তখন ফূর্তি করছেন, আর অন্যদিকে না খেতে পেয়ে মানুষ মরছে। আর আপনি বলছেন না খেয়ে মারা যায়নি ওরা।’ তাহলে কি ওরা সুইসাইড করেছেন বলে প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি বক্তব্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এখন মানুষ সব বুঝতে পেরেছে। তোমাদের দুর্দশা সবে শুরু হয়েছে। দেখুন কি করি। এক বছর পর এখানে চন্দন মাখার লোক থাকবে না। পার্টি অফিস খোলার লোক থাকবে না।

আজকে জঙ্গলমহল বিজেপিতে পরিণত হয়েছে। আর আপনি তা সহ্য করতে পারছেন না। তাই গুন্ডা দিয়ে, পুলিশকে দিয়ে বিজেপি কর্মীদের হত্যা করছেন। আজকে ভয়ে বোর্ড গঠন হতে দিচ্ছে না। যেদিন হাওয়া ঘুরবে সেদিন পুলিশকে দিয়েই কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে আসবো। ঠান্ডায় মাটিতে বসিয়ে রাখবো। পুলিশের গুঁতো কি তখন বুঝবেন।”

মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষ দাবি করে বলেন, আজকে আপনার দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মানুষ মরছে। আর আপনি বলছেন ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এসে গুন্ডামি করছে। ঝাড়খন্ড থেকে পশ্চিমবঙ্গে লোক আসে না এখান থেকেই ঝাড়খণ্ডে মানুষ রোজগারের আশায় যায়। এখানে শিল্প নেই কাজ নেই কিছুই নেই মানুষ এ রাজ্য ছেড়ে চলে যাচ্ছে।’

রথযাত্রা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের রথযাত্রার শেষে নাকি দিদি পবিত্র যাত্রা করবেন। কেন এই যাত্রা করবেন তিনি। কারণ আমাদের রথযাত্রার পর খিচুড়ি খেয়ে মানুষের ফেলে রাখা থালা, গ্লাস পরিষ্কার করবেন তিনি। এদিন তিনি নাম না করে সাবধান করে দিয়ে বলেন, রথের সামনে আসবেন না এবং আটকাবার চেষ্টা করবেন না। দম থাকলেও আমাদের থেকে বড় রথযাত্রা করে দেখান।’

তিনি দলের রাজ্যের কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৪ টি এবং অমিত শাহ ৮ টি সভা করবেন। এছাড়া ৫ তারিখ থেকে গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা শুরু হবে। ৭ তারিখ কোচবিহার, ৯ তারিখ গঙ্গাসাগর এবং ১৪ তারিখ তারাপীঠে হবে বলে সেখানে যোগ দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান করেন তিনি।

 



from News Express https://ift.tt/2zxByyO

Comments

Popular posts from this blog

news links 18

new link 7

new links 3